যাত্রী স্বাচ্ছন্দ‍্যে পদক্ষেপ রেলের বসছে চলমান সিঁড়ি জংশন স্টেশনে

31st October 2020 11:03 am হুগলী
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ‍্যে পদক্ষেপ রেলের বসছে চলমান সিঁড়ি  জংশন স্টেশনে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : ট্রেন চলার সবুজ সংকেত এখনো মেলেনি। তবে মার্চে লকডাউনের পর যখন আবার শহরতলির ট্রেন পরিষেবা চালু হবে ব্যান্ডেলের যাত্রীরা পাবেন দুটি এস্কেলেটর । এখন সিঁড়ি ভেঙে ফুট ওভার ব্রিজ পেরিয়ে অথবা সাবওয়ের সিঁড়ি দিয়ে প্লাটফর্মে উঠে ট্রেন ধরতে হয় যাত্রীদের। এস্কেলেটরে সুবিধা হবে যাত্রীদের। হুগলি জেলার সবচেয়ে বড় জংশন স্টেশন ব্যান্ডেল। হাওড়া, বর্ধমান,কাটোয়া ও নৈহাটি যাওয়ার লাইন রয়েছে। অনেক দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়ায়। সাতটা প্লাটফর্ম আছে ব্যান্ডেলে ।কয়েক হাজার যাত্রী রোজ যাতায়াত করে এই স্টেশন দিয়ে । চলমান সিঁড়িতে যাত্রীদের উপকার হবে। করোনা আবহের জেরে বদলে গেছে প্রাত‍্যহিক ছবি । যে স্টেশন দিয়ে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ছিল তা এখন থমকে গেছে । এর মধ‍্যেই যাত্রী পরিষেবার জন‍্য রেল স্টেশন গুলিতে আধুনিকীকরণের জন‍্য কাজ চলছে । নতুন ভাবে ফের ট্রেন চালু হলে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ‍্য করবেন যাত্রী সাধারণ । ব‍্যান্ডেলের মত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে চলমান সিঁড়ি চালু হবার খবরে খুশি সকলেই । প্লাটফর্মে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা হবে , সুবিধা হবে বয়স্ক মানুষদের ও । নির্দিষ্ট সময়ের মধ‍্যে কাজ শেষ করতে তৎপর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীরা । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।